
অনলাইন ডেস্ক ৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:২৮:৫৭
আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে একটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো শীত, গ্রীষ্ম, বসন্ত ও শরৎ ঋতুগুলোর পালাক্রমে আগমন। সুতরাং প্রচণ্ড গরমের সময় বান্দা যেন জাহান্নামের গরমের কথা স্মরণ করে, এই দুনিয়ার প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করে।

শীত ও গ্রীষ্মের ব্যাপারে নবীজি বলেন, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে।
বর্তমানে গরম পড়ছে অস্বাভাবিক। আবার এর মাঝে অনেক এলাকায় বিদুৎও থাকে না। এর মাঝে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠছে। এ গরমও আল্লাহর আজাবের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। তাই আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করা জরুরি। তীব্র গরম শুরু হলে, বৃষ্টি না হলে নবীজি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন বান্দাদের।
হযরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, বৃষ্টি না হওয়ায়, প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবীজি সা. এর কাছে কিছু লোক এলেন। তিনি তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন-
اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝিলান গাইরা আঝিলিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়, বৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ১১৬৯, আবদ ইবনু হুসাইদ ১১২৫)
গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে, আর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য রাসুল সা. দোয়া শিখিয়ে গেছেন, তেমনি একটি দোয়া হলো-
اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে।‘ (মুসলিম ২৭৩৯, আবু দাউদ ১৫৪৫, রিয়াদুস সালেহিন ১৪৭৮)
এমন প্রচণ্ড গরমে একপশলা বৃষ্টির জন্য মুমিনরা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। শস্য ফলানোসহ পশুপাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, তেমনি তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরই দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় এই দোয়ার নাম ‘ইসতিসকা’ বা সিক্তকরণের দোয়া। এ নামাজের নাম ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা ‘বৃষ্টি কামনায় নামাজ’।





































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































