
অনলাইন ডেস্ক ৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১১:৪৯:২৯
এবার পাকাপোক্ত সিদ্ধান্তে সরে যাচ্ছে কারওয়ানবাজার। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে কিচেন মার্কেটসহ আড়ত ভাঙার কাজ। যা ভাবনায় ফেলেছে এখানকার বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীদের। ঢাকাকে স্মার্ট করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আশ্বাস, গাবতলীতে করে দেয়া হবে ভোক্তা সহায়ক বাজার অবকাঠামো। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, যে দোহাই দিয়ে সরানো হচ্ছে কারওয়ানবাজার; সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে না রাজধানীবাসীর। বরং বেড়ে যাবে পণ্যের দাম।

নুরুল খলিফা। দীর্ঘদিন ধরে সকাল সকাল কারওয়ানবাজারে এসে সেলাই মেশিনে বসে পড়েন কাজে। দিনভর সুই-সুতার সেলাইয়ে কিছুটা হলেও আয়ের যোগান দেন জোড়া-তালির সংসারে। কিছুদিন ধরে তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, যেন বোঝা হয়ে থাকতে না হয় নিজের পরিবারের কাছে- এমন ভয়।
নুরুলের মতো আরেক ব্যবসায়ী আনোয়ারেরও আয় আসে কারওয়ানবাজার থেকে। ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করে বাকি পড়েছে ৫০ লাখ টাকার বেশি। তার ভাবনা, এখানকার দোকান-পাট বন্ধ হয়ে গেলে কি তুলতে পারবেন তার পাওনা।
তাদের সবার এমন আশঙ্কার কারণ, ঢাকার প্রবেশপথ গাবতলীতে সরে যাচ্ছে ১৭শ শতাব্দী থেকে একটু একটু করে গড়ে ওঠা কারওয়ানবাজার। পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কাজও।
ডিএনসিসি বলছে, শহর নষ্ট করছে এই বাজার। স্থানান্তরের পর এখানে তৈরি করা হবে স্মার্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ঢাকা শহরের যানজট কমাতেই মূলত কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ স্থানে স্মার্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হবে।
স্থানান্তর মানতে বাধ্য হওয়া ব্যবসায়ীরা চান, কারওয়ানবাজারের মতোই ভোক্তাবান্ধব বাজার কাঠামো। তারা বলেন, নতুন জায়গায় গিয়ে ব্যবসা দাঁড় করাতেও সময় লাগবে। রয়েছে ব্যাপক লোকসানের শঙ্কাও।
কারওয়ান বাজার আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সুজন বলেন, আড়তের সুবিধাগুলো পেলে আড়তদাররা স্থানান্তরে রাজি আছে। তবে সেটি আমিনবাজারে নয়।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, কারওয়ানবাজার সরিয়ে নিলে কতোটা যানজটমুক্ত হবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র; তা ভাববার বিষয়। তবে এটা নিশ্চিত যে, বাজার সরিয়ে নিলে কর্মহীন হবে হাজারো মানুষ, দাম বাড়বে পণ্যের।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, কারওয়ান বাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হলেও কিন্তু যানজট কমবে না। উল্টো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কর্মহীন হবেন মানুষ।
এদিকে, গাবতলীতে প্রস্তাবিত পাইকারি কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির অস্থায়ী কার্যালয় রয়েছে একটি ভবনে; আর মালামাল লোড-আনলোডের জায়গা দখলে রেখেছে ভারী যানবাহনের সারি। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা এলেই সরে যাবেন।





































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































